(৫৩)

বেশি কথা নয় দুটি ঘটনা। বেশ কিছুদিন আগে, দিল্লীতে শীত ৮০তে আসিও না করছে। কিন্তু কি ভেবে আমি উইন্ডচিটারখানা গায়ের উপর ফেলে। বুক ফুলিয়ে বাইক নিয়ে চলেছি অফিসের উদ্দেশ্যে। পথে একটা বড় সড় রেড লাইট। দাঁড়িয়ে ভেড়া গুনছি… ১,২,৩,৫৯,৭৭… এমন সময় অনিলকাপুরের মেজো মাসতুতো ভাই… (মানে গোঁফে গোঁফে সম্পর্কের সূচনা… বাকি কি আমি দেখতে গেছি?) এসে বললেন, “ভাইসাব আপকা চেন খুলা হ্যায়!!”
বহু কষ্টে গোঁফহীন ইজ্জতটাকে বুকপকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়াই। ঠাণ্ডা নেই কিন্তু এতটাও গরম নয় যে পোষ্টুপিসে তালা লাগাবো না। স্বাভাবিক ভাবেই হেঁট মুণ্ড হতেই তিনি শুধরে দিলেন, “নেহি নেহি জ্যাকেটকা চেন খুলা হ্যায়!” এটা কোথাকার জীবরে বাবা বাইক চড়ে বসে আছে তো চালাচ্ছেটা কে মার্কা দৃষ্টি দিয়ে তেনার দিকে তাকাতেই তিনি ঝুলি খুললেন- দেখলাম বারো হাত কাঁকুড়ের তেরো হাত বিচির মতো প্রায় খান চুয়াল্লিশ বেড়াল… “আভি মৌসম ঠিক নহি হ্যায় (বড়া বেইমান হ্যায়)। হাওয়া বহ রাহা হ্যায় না (হ্যায় না বোলো বোলো?)। মুঝেই দেখিয়ে (আজি জানেমন)। পিছলে সাত দিনো সে মেরা বুখার থা (না থেকে আসছি?) না খানা না পিনা (সাঁইয়ান বেইমান)। আজ থোড়া ঠিক হুয়া হ্যায় কে অফিস চলা যাতা হুঁ (কিসি কে ধুন মে)……………………!” আসলে পুটকিগুলোতে অনেক কিছু বলা ছিলো যা আমার কানের ভিতর দিয়ে মরমে পোশিতে না পারিয়া মাঝখানের ফাঁকা জায়গা দিয়া বাহির হইতেছিল আর আমি ভেড়া গোনার গতিবেগ বাড়িয়ে দিচ্ছিলাম। কিন্তু তখনও তো ৩৩,৩২,৩১,…।

তাই শেষমেশ থাকতে না পেরে হুস কুরে চেন তুলে দিয়ে বললাম, “দেখো আমি বাড়ছি মামি…”। তারপর পথ নিরাপত্তা সপ্তাহের নিরাপত্তাকে কড়ে আঙ্গুল দেখিয়ে যেই না ০ হয়েছে তখনি হুস করে উড়ে গেলাম। বিশ্বাস করুন পরের দু কিলোমিটার পিছন পানে তাকাই নি… যদি আবার রাগ বেহাগ শুরু হয়ে যায়???

পরের ঘটনাটা কানে শোনা (ইসস আমিও খুসবন্ত সিং হয়ে গেলাম নাকি?)। এটা Toilet Humour (অথবা Rumour)এর গল্প। লেডিস টয়লেটে (কি সাঙ্ঘাতিক… জনগণ কান খাড়া করে চোখ বড় করে শুনতে বসল… কার্বন ডাই অক্সাইড ও অক্সিজেনের ভারসাম্যে একটুও হেলদোল হল না যে) এক ঠাকুমা তাঁর নাতিকে নিয়ে ঢুকেছেন (না না নাতির বয়স চার পাঁচ হবে)।

এ ঠাকুমা সেই হরিমতি বা শ্রবণবেলগোলা টাইপ নয় এ একেবারে ষাইটেও টাইট ঠাকুমা। নাতিও উত্তর আধুনিক- সে সবাইকে ডিঙিয়ে ডুঙিয়ে ভিতরে গিয়ে তারস্বরে হালকা হল এবং নিমেষ বেরিয়ে এল। ঠাকুমা অতটা ভাগ্যবতী নন। তিনি সবে ভিতরে গিয়ে ঢুকেছেন। নাবালক নাতি বেরিয়ে ঠাকুমাকে দেখতে না পেয়ে আগেই ডাক পাঠালো চিলের গলায়। তারপর যে কাণ্ডটি করল তার ফলাফলে মহিলারা তারস্বরে সমবেতে সরগমে আঃ আহ আ (Remember Potolbabu filmstar?) করে গলা সাধতে লাগল। ঠাকুমা পড়ি মড়ি করে জায়গায় অজায়গায় হাল্কা ভারি হয়ে এসেই ঝাড় লাগালেন নাতিকে, “ডেঁপো ছেলে অসভ্য ছেলে নচ্ছার ছেলে দরজার নীচ দিয়ে উঁকি দিচ্ছিলে কেন?” (সত্যিই তো… ছিঃ!!)

নাতিও কম যায় না। সেও পাঁচেই too much। অম্লান বদনে বলল, “তা নইলে জানবো কি করে কোন ঘরটায় তুমি আছ?” পাঠক ও পাঠিকাগণ, মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন…

3 thoughts on “(৫৩)

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান