আজ ভোরবেলার স্পেশাল স্বপ্নময় ঘুম ভেঙে গেলো চিল চিৎকারে। কেউ মাইক নিয়ে প্রবল জোরে কিছু করার চেষ্টা করছে। আমার অভ্যেস আছে গুরুপরবের দিন কিন্তু আজ সত্যিই চমকে গেলাম। ঘড়িতে দেখি বাজে সাড়ে পাঁচটা আর ‘রাধে রাধে’ করতে করতে একদল বেসুরো লোক সুরে গাইতে গাইতে এলো আর চলে গেল। পার্শ্ববর্তিনী এমনিতেই তার মিনিয়েচার সংস্করণের নানান আবদারে মাঝরাত পেরিয়ে নিদ্রায় যান। তার উপর সাড়ে পাঁচটায় ক্যাকোফোনি শুনে হঠাৎ ধড়মড়িয়ে উঠে জিজ্ঞাসা করলেন,” ‘আশারাম! আশারাম!’ করে চেঁচাচ্ছে কেন?”
আমি ততক্ষণে একটু ধাতস্থ হয়েছি ভাল করে বুঝলাম ওটা ‘আ যা শ্যাম’! তারপর এই ক্যাকোফোনির মানেটা খোঁজার চেষ্টা করলাম। এক পুরুষ কণ্ঠ, যা কিনা সামান্য সুরেলা তিনি গেয়ে চলেছেন জি শার্পে আর তাঁর ঠিক পরেই এক মহিলা কণ্ঠ একই লাইন বি ফ্ল্যাটে মারছেন। আর সুরের ধান হামানদিস্তায় মাড়াই হচ্ছে।
ছেলেবেলায় আমার মেজমাসির বাড়ি যেতাম নীলমণি মিত্র স্ট্রিটে। তা মাসির বাড়ির ঠিক মুখোমুখি একপাল গুজরাটি থাকত। তখন আসলে গুজরাটি, রাজস্থানি, বুন্দেলখন্ডী, বিহারী, ইত্যাদি সকল প্রকার আমিষ অসেবনকারীকে ‘মাওড়া’ বলেই জানতাম। আমার এহেন জাতিবিদ্বেষী মনোভাবকে ক্ষমা করবেন, কিন্তু সত্যিই ছেলেবেলায় সাদামনে কাদা ছিলনা।
সে যা হোক, তা সেই মহান গুজরাটিরা প্রতি সন্ধ্যায় ইষ্টনাম জপ করতেন একত্রিত হয়ে। এবং বিশ্বাস করুন! এত্ত কুৎসিত বেসুরো আমিও গাইতাম না কোনকালে। তাই শুনিও নি। পরবর্তীকালে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে মনে হয়েছে, ‘এ হল কৃচ্ছসাধনের অপর রূপ। যা কিছু শ্রুতিমধুর, তা মনে হয়ে ভগবানের চিত্তবৈকল্য ঘটাতে পারে। তাই পরম ভক্ত, চরম কর্কশ স্বরে গান ফায়ার করছেন’ এরকম টাইপের কিছু।
তা সে তো প্রসেশান করে এসেছিল আবার তেমনই চলে গেল। আর আমার ঘুমটা গেল ভেঙে। আর ভেঙেই বুঝতে পারলাম কোমরে একটু ফেভিকলের অভাব ঘটেছে, তাই একটা চ্যাটচ্যাটে ব্যথা।
আসলে হয়েছে কি, ছেলে ছোকরাদের উৎসাহে আবার করে সেক্রেটারিয়েট লীগ খেলতে নেমেছি। প্রায় বছর নয়েক পরে। এই মন্ত্রণালয়ে এর আগে ক্রিকেট টিম ছিল না। এবারে তাদের উৎসাহে যে টিমটা বানানো হয়েছে তাতে আবার সিরিয়াস ক্রিকেট খেলোয়াড়ের অভাব।
ছেলেপুলেরা খেলেছে। কিন্তু ওই আর কি! দুজনের মাঝখান দিয়ে বল গেলে এ বলে আমায় দেখ ও বলে আমায় দেখ! সব বল বাউণ্ডারির বাইরে ছ বলে ছত্রিশ মারার ইচ্ছা রাখা ব্যাটসম্যান সব, কিন্তু আসলে কাপ আর ঠোঁটের মধ্যে খোঁচা লাগা না লাগার ফারাক। আর বল হাতে ধরিয়ে দিলে সবাই শোয়েব আখতার। খাঁইমাই ছুটে এসে হাঁইমাই বল ফেলছে। এরই মধ্যে দুটোকে বুঝলাম যে সিমটা সোজা ফেলতে পারে। একটা বাঁ হাতি। তার বলটায় একটু গ্রিপ ঠিক করিয়ে দিতেই দেখলাম ডান হাতি ব্যাটসম্যানের ভিতরে আসা শুরু করেছে। আর একটা সাক্ষাৎ টমসন! চাকার মতো হাত ঘুরিয়ে বেশ জোরের সঙ্গে আউটস্যুইং করে। আর বাকিদের কুড়িয়ে বাড়িয়ে হয়ে যাবে। কিন্তু ব্যাটিং?
একটা আমার থেকে সামান্য কম বয়সী অফিসার আছে, সে মোটামুটি কাজ চালিয়ে দেবে ব্যাটিং আর বোলিং দুটোতেই ওপেন করে। আর আরেকটা আমার পুরনো মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সহযোদ্ধা। ব্যাটে বলে করে ফেলতে পারে। আর বাকী যা সব আছে, তাদের সিনিয়র অফিসারদের কাছে ফাইল পুট আপ করতে করতে আত্মবিশ্বাসই হয় নি ঠিক মত।
আমার ইতিহাসটা বেশ করুণ এ বিষয়ে। পুরাকালে কেন জানি না আমার কোচেদের মনে হয়েছিল যে আমি বাঁহাতি স্পিনার, তো সেটাই ভালো করে করতে হবে। ব্যাটিং করতে হবে না। সবই করতাম কিন্তু ব্যাটিং করতে দিত না। ফলে সঠিক ব্যাটসম্যানে রূপান্তরিত হতে পারিনি কখনই। ওই কাজ চালানোর মতো করে ব্যাট চালিয়ে দিতাম। পরে স্কুল বা কলেজের ম্যাচে ওপেন করার ফলে প্রোমোশন হয়েছিল নাইটওয়াচম্যান হিসাবে। ব্যাস ওখানেই আটকে যায়। কিন্তু দিল্লিতে এসে বুঝতে পারি ব্যাটিংটা আদতে খুবই সহজ জিনিস, অজটিল ব্যাপার। মানে তোমার পজিটিভ আর নেগেটিভ বুঝে গেলে নেগেটিভকে ডিফেন্স দিয়ে আটকে দাও আর পজিটিভের ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে রান কর। এইভাবে মোটামুটি সফল হয়ে চলছিলাম।
তা এমতবস্থায় আবার সেই বুড়ো বয়সে ওপেন করতে রাজি হয়ে গেলাম। একে ক্যাপ্টেন, আর তার উপর শুধুই ক্যাঁচা ব্যাট চালাই না। আব্বার কী! হাঁটুতে ক্রেপ জড়িয়ে নিক্যাপ পরে ওপেন করতে নেমে পড়া। আর স্লেজিং? ছেলেবেলায় একবার শুনে শিখে ‘শুয়োরের বাচ্চা’ বলে ফেলেছিলাম বলে মা জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘তোমার বাবা বলে?’ সেই থেকে বাপের সম্মান রক্ষার্থে ওসব আমি ঠিক পাবলিকালি বলে উঠতে পারি না।
কিন্তু স্লেজিং মানে কী গালাগালি শুধুই! স্লেজিং এর অস্ট্রেলীয় মানে তো মেন্টাল ডিসইন্টিগ্রেশন। মানসিক ন্যালপ্যালেকরণ। তা সে তো অন্যভাবেও হয়।
তা এসব নিয়েই ময়দানে নেমে পড়লাম। আর পড়বি তো পড় প্রথম ম্যাচেই আমার পুরনো মন্ত্রণালয় মানব সম্পদ উন্নয়ন।
টস! জিত! ব্যাটিং সক্কাল সক্কাল। বেশ কথা। দেখলাম ব্যাটে বলে হতে শুরু করেছে। কিন্তু যেই দু ওভারে একুশ উঠে গেছে আমি দুটো চার মেরে দিয়েছি, ওব্বাবা ওপ্রান্তে ভটাভট উইকেট পড়া শুরু হল। পরপর দুটো। একজন গার্ড নিল ‘টু লেগ’! নিয়ে মিডল স্টাম্পে দাঁড়িয়ে শাফল করে অফস্টাম্পের উপর উঠে এল। নিট ফল পিছন দিয়ে বোল্ড। তারপর যে এল সে দেখি ভয়ানক নার্ভাস। সেদিন মিনিস্ট্রির পার্লিয়ামেন্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিং আছে আর সে পার্লামেন্ট সেকশনে কাজ করে। খালি ভয় পাচ্ছে ‘এই বুঝি ফোনে ডাক এল’! ব্যাট করতে গিয়েও একই অবস্থা। বল স্যুইং করছে বলে বললাম, ‘আগে আকে খেল না’! মানে ক্রিজের বাইরে দাঁড়িয়ে স্যুইংটা সামলাতে। ওবাবা সেও দেখি অফস্টাম্পের দিকে এগিয়ে গেল। ফলাফল যা হবার তাই হল। আরও তিনটে চলে গেল।
তারপরের ছেলেটা বড়ই ভালো। আমি যেমন যেমন বলছি, তেমন তেমন খেলছে। এমন কী আতুপুতু স্পিনার পেয়ে ঠ্যাঙাবার আগেও আমাকে জিজ্ঞাসা করে নিচ্ছে, ‘মার লু ইসে?’ তা এসব করেই চলছিল।
আমি আবার সিঙ্গলস মোডে চলে গেছি। বল স্যুইং হচ্ছে সকালের তাজা উইকেট। কায়দার দরকার নেই। ব্যাটে বলে কর গ্যাপে ফেল আর ছোট। ছোট মানে? বলি বয়সটা কত হল খেয়াল আছে? আর তার উপর অভ্যাসের দফারফা! যা হবার তাই হল, বারো ওভার ব্যাট করার পর আর দেখি হাতে পায়ে জোর পাচ্ছি না। লোপ্পা একটা হাফ ভলি মিড উইকেটের উপর দিয়ে তুলতে গিয়ে দেখলাম ব্যাটটাই শুধু কাঁধে তুলেছি! লোপ্পা ক্যাচ দিয়ে বিদায়। আর টিমও তারপর ধসে পড়ল ১০৩ রানে। আমি সর্বাধিক ২১!
হাসবেন না! আসল গল্প তো এবারে শুরু হল। আগেই বলেছিলাম বোলাররা ঠিকঠাক বিশেষত, বাঁ হাতি পেসারটা শুরু করল ভিতরের দিকে বল আনা। ব্যাস দু দুটো উইকেট তুলে নিতে ঘাড়ে চেপে বসলাম। টমসন হাত ঘুরিয়ে তুলল দুটো। আমি বল করতে এলাম, ছ নম্বর ওভারে, যে ছেলেটা ব্যাট করছিল তাকে একটু আস্তে সামান্য স্পিন মেশানো বল দিয়ে সেট করলাম। তার মনে হল আমাকে মাঠের বাইরে ওড়ানো যাবে। আর যায় কোথায়! পরের বলটা ১১০ কিমি গতির আর্মার। ঘঁক করে ভিতরে ঢুকল আম্পায়ারের আঙুল তোলা ছাড়া কিচ্ছুটি করার ছিল না।
অবশ্য এখানেও কাজ করা আছে! শুরু থেকেই আম্পায়ারে সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলেছি। কোন ডিসিশন চ্যালেঞ্জ করলে বকাবকি করছি ছেলেদের, আর নিজেও করছি না।
আম্পায়ারকে গুরুত্ব দিলে সেও দেবে। মানব সম্পর্কের গল্প। এসব করে দেখি আট উইকেট চলে গেছে। আমার দুটো উইকেট। কিন্তু টানা চার নম্বর ওভার করতে গিয়ে আইঢাই অবস্থা। দম পাচ্ছি না। দুটো ওয়াইড করে ফেললাম। কিন্তু শেষ বলটায় সর্বশক্তি নিয়ে জায়গায় ফেলে আবার একটা আর্মার। ফিফটি ফিফটি ডিসিশন। কিন্তু ততক্ষণে আম্পায়ারের মনে এই বিশ্বাস জাগাতে পেরেছি যে ‘দিস ম্যান ক্যান ডু নো রঙ!’ অ্যাপিল করতেই ঢ্যাং করে আঙুল তুলে দিল। উফফফ শান্তি শান্তি!
শেষ উইকেট। চেঁচিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কত রান!’ বলে আট রান বাকি! আমি বললাম, ওসব দরকার নেই কত রান হয়েছে বল!
এগুলো সব মানসিক খেলা। যদি বলেন আট রান করতে হবে আট ওভারে, সেটা লোকে করে দেবে। কিন্তু যদি বলেন ছিয়ানব্বই হয়েছে আর করতে হবে একশো চার। তাহলেই দেখবেন চাপের নাম বাপ, খাপে খাপ, পহলে আপ! আরে একশো করুক আগে তারপর কথা বলিস। ঠিক তাই। শেষ উইকেটে যখন পাঁচ রান বাকী শেষ ব্যাটসম্যান দাঁড়ালো টমসনের সামনে। আমি ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে চেঁচিয়ে বললাম, ‘উইকেট মে ডাল ইয়ে সামহাল নেহি পায়েগা!’ আর হলও তাই! নিরেনব্বুইটা পাখি তীরে উঠতে পারল না। চার রানে জিতে গেলাম।
আর তারপর বন্য উৎসব! (ওয়াইল্ড সেলিব্রেশনের বাংলা তো এটাই হবে নাকি?)
অফিসেও কেউ ভাবে নি প্রথম ম্যাচ জিতে ফিতে যাব। সে তো একদম হিরোজ ওয়েলকাম। মিষ্টি বিতরণ ইত্যাদি।
পরের ম্যাচ কোলকাতা থেকে ফিরে একত্রিশে অক্টোবর। এবার মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেস মন্ত্রণালয়। এবারে অবশ্য প্রস্তুতি সামান্য বেশী। আগের দিন ডেসিগ্নেটেড থ্রোডাউন নিয়েছি। বল করেছি বেশ কিছুক্ষণ সারা মাঠ বার দুয়েক চক্কর লাগিয়েছি।
কিন্তু টসে জিতে আবার ব্যাটিং। আবার ওপেন! এবারে আমার সঙ্গে সেই মানব সম্পদের পুরনো সাথী। কোনরকমে ব্যাটে বলে করতে পারে কিন্তু অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু আমার সঙ্গে আছে আমার স্লেজিং। মেন্টাল ডিসইন্টিগ্রেশন। ভাল করে দেখলাম, বিপক্ষের বোলার বলতে পৌনে দুই! একটা বেশ ভাল বোলার আছে, যেটা বেশ গতিতে আউট স্যুইং করায়। আর একটা মোটামুটি। বাকিগুলো বেড়া ডিঙানোর ভেড়ার মতো নম্বর পুরো করতে খেলছে। কিন্তু আউইট স্যুইং বোলারটার একটা সমস্যা হয়েছে বোলিং স্পাইকস গেছে ভেঙে। ব্যাস আমায় পায় কে। শুরু থেকেই তার কানের কাছে ফুসুর ফুসুর করতে লাগলাম, ‘সামহালকে হাঁ জাম্পকে টাইম পে থোড়া দেখকে। প্যায়ের মে মোচ না আ যায়ে! মুঝে তুমহারে লিয়ে ডর লাগ রহা হ্যায়!’ ইত্যাদি। সে বেচারি বাঁহাতিকে বল করতে গিয়ে গুছিয়ে পায়ের উপর দিচ্ছে আর আমিও গুছিয়ে তাকে বাউণ্ডারির বাইরে ফেলছি। মাঝে সাঝে ওয়াইড এসব নিয়েই তেরো ওভারে একশো দশ করে ফেলেছি।
এর মধ্যেই অবশ্য প্রথম ওভারের একটা রিস্কি সিঙ্গলস নিতে গিয়ে ডানপায়ের হ্যামস্ট্রিঙ-এ টান ফেলে তাতে স্প্রে করিয়ে নিয়েছি। জল পানের বিরতিতে আমার আরেক সিনিয়র সহযোদ্ধা বলে গেল ‘মাত্র ছাপ্পান্ন রান দূর হ্যায় আপ সেঞ্চুরি সে!’ ব্যাস ব্যাটা সেটাই কাল হল। ছেচল্লিশ করে লোপ্পাই ফুল্টসে দিলাম ঘুরিয়ে! পুরো লেগ সাইডে একটাই শর্ট মিডউইকেট। সে ভয়ে মুখের সামনে হাত নিয়ে মুখ বাঁচাতে গিয়ে দেখল হাতের মধ্যেই বল আসছে আর ব্যাটা খপাৎ করে নিল লুফে। হাফ সেঞ্চুরিটা মাঠে ফেলে এলাম।
সে যাই হোক শেষ হল একশো চৌষট্টি রানে তিন উইকেটে। আমার সঙ্গীটি পঞ্চাশ করেই ফিরল। আর কুড়ি ওভারের খেলায় একশো চৌষট্টি অনেক। তবুও আমি সবাইকে বলে দিলাম যে, মাঠে রান বেরিয়ে যাচ্ছে বলে খুব চেঁচামেচি করব। বিপক্ষ ভাববে প্রচুর রান করছে কিন্তু পটাপট ওভারগুলো করে ফেলব, যতক্ষণে বুঝবে ততক্ষণে স্টিমার গোয়ালন্দ ছেড়ে চলে গেছে। খুব একটা সমস্যা হয় নি! আমি খুব ভালো বল করিনি! কিন্তু একটা আশি রানের পার্টনারশিপ ভাঙলাম একটু বেশি ফ্লাইট আর ওভারস্পিন ব্যবহার করে। আর তারপর আর কি! টমসন আবার চার উইকেট নিল। ওরা একশো বাইশে অলআউট শেষ ওভারে। আর তারপর ভয়ানক গাত্রদাহ।
হ্যামস্ট্রিংটা সেদিন রাত থেকেই জানান দিচ্ছিল। সেটা একটু কমতে এই কোমরে ব্যথা। রিকভারি টাইমই বেরিয়ে যাচ্ছে তিন চার দিন করে। আর এখন তো হোম, কমার্স আর ওয়াটার রিসোর্সের মত শক্ত ম্যাচগুলো বাকি। দেখা যাক। মন্দ তো লাগছে না! নেয়াপাতি ভুঁড়িটা একটু একটু করে কেটে পড়েছে। ব্যাটে বলে হওয়ার বা ব্যাটকে টার্ণ বা বাউন্সে বিট করার একটা স্বর্গীয় আনন্দ আছে! সেটাও জীবনে ফিরে এসেছে। দিন কয়েকের জন্য হলেও! আরে এসব ক্ষেত্রেই তো গুলজার ফুলজার লিখে গেছেন না, ‘ফির এক নয়ি জিন্দেগি জিলে তু! বস ঠিক সে শ্বাস লেলে তু!’ না না গুলজার নন! ফুলজারই বোধহয় এমনটা লিখেছেন! আমেন!